বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – জীবন ও সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যের ধারায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তাঁর জীবন সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। পোস্টটি বাঙালি পাঠক মাত্রেরই ভালো লাগবে এমন আশা রাখি।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – পরিচিতি

জন্ম – ২৬ জুন ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দ বা ১৩ আষাঢ় ১২৪৫ বঙ্গাব্দ

জন্মস্থান – কাঁটালপাড়া, চব্বিশ পরগণা

পিতা-মাতা – যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাদেবী

ভ্রাতা – শ্যামাচরণ, সঞ্জীবচন্দ্র ও পূর্ণচন্দ্র

শিশু বয়সের শিক্ষক – বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্য, রামপ্রাণ সরকার

শিক্ষা – হুগলি কলেজ (১৮৪৯, এখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে), ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন বিভাগ থেকে এন্‌ট্রান্স পরীক্ষা দেন। ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ১১ ডিসেম্বর বি-এ উপাধি পান।

দাম্পত্য সঙ্গী – মোহিনী দেবী (প্রথমা পত্নী), রাজলক্ষ্মী দেবী (ইনি হালিশহরের বাসিন্দা ছিলেন)

কন্যা – শরৎকুমারী, নীলাব্জকুমারী ও উৎপলকুমারী

সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত – ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘সংবাদ প্রভাকরে’ কবিতা প্রতিযোগিতায় কবিতা লেখেন – ‘কামিনীর প্রতি উক্তি’।

উপাধি/উপনাম – সাহিত্য সম্রাট, সব্যসাচী, সাহিত্যমহারথী, ঋষি বঙ্কিম, বাংলার স্কট, রায়বাহাদুর (১৮৯২)

ছদ্মনাম – রামচন্দ্র, কমলাকান্ত

সম্পাদনা – বঙ্গদর্শন (১৮৭২)

মৃত্যু – ৮ এপ্রিল, ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ বা ২৬ চৈত্র ১৩০০ বঙ্গাব্দ

গ্রন্থাবলী

কাব্যঃ ললিতা তথা মানস (১৮৫৬), কবিতাপুস্তক (১৮৭৮)

প্রবন্ধগ্রন্থঃ লোকরহস্য (১৮৭৪), বিজ্ঞান রহস্য (১৮৭৫), কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), বিবিধ সমালোচন (১৮৭৬), রায় দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুরের জীবনী (১৮৭৭), প্রবন্ধ পুস্তক (১৮৭৯), সাম্য (১৮৭৯), মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত (১৮৮০, গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে), কৃষ্ণচরিত্র (১৮৮৬), বিবিধ প্রবন্ধ (১৮৮৭, ১৮৯২), ধর্ম্মতত্ত্ব (১৮৮৮)

ইংরেজি প্রবন্ধ – On the Origin of Hindu Festivals, A Popular Literature for Bengal, Bengali Literature, Buddhism and the Sankhya Philosophy, The Confession of a Young Bengal, The study of Hindu Philosophy, Vedic Literature, Caste in Lower Bengal

 উপন্যাসঃ ইংরেজি – Rajmohan’s Wife (১৮৬৪),

বাংলা – দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), ইন্দিরা (১৮৭৩), যুগলাঙ্গুরীয় (১৮৭৪), চন্দ্রশেখর (১৮৭৫), রজনী (১৮৭৭), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রাজসিংহ (১৮৮২), আনন্দমঠ (১৮৮২), দেবী চৌধুরাণী (১৮৮৪), রাধারাণী (১৮৮৬), সীতারাম (১৮৮৭)

অসম্পূর্ণ রচনা – নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী, ভিক্ষা, Devi Chaudhurani (অনুবাদ)

বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের উৎসর্গ তালিকা

১. দুর্গেশনন্দিনী – শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায়কে

২. কপালকুণ্ডলা – সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে

৩. মৃণালিনী – দীনবন্ধু মিত্রকে

৪. বিষবৃক্ষ – জগদীশনাথ রায়কে

৫. চন্দ্রশেখর – পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে

৬. দেবী চৌধুরাণী – পিতা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে

৭. সীতারাম – রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়কে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *