কারক খুঁটিনাটি তথ্য – একনজরে জানা অজানা
কারক ও অকারক সম্পর্ক বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই পোষ্টে উক্ত বিষয় সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য দেওয়া হল যা SLST, PSC সহ নানা পরীক্ষার উপযোগী। এই সকল পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় এই পোষ্ট।
একনজরে কিছু তথ্যঃ
- ‘কারক’ শব্দের ব্যুৎপত্তি – কৃ + অক
- সাধারণ অর্থ – যে করে।
- ব্যাকরণে শব্দটির অর্থ – ক্রিয়ার সঙ্গে অণ্বয় যুক্ত।
- সংস্কৃতে কারকের সম্পর্কে প্রথম প্রবক্তা – পাণিনি (অষ্টাধ্যায়ী, প্রথম অধ্যায়, চতুর্থ পাদ, ২৩ নং সূত্র)
- ‘অষ্টাধ্যায়ী’ গ্রন্থে কারকের সূত্রটি হল – কৃ + ণ্বুল
- কারকের সংস্কৃত সংজ্ঞা – ক্রিয়াণ্বয়ি কারকম্
- কারক কী ? – বাক্যস্থ নামপদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের অণ্বয় বা সম্পর্ক
- কারকের শ্রেণি – কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, অধিকরণ কারক, অপাদান কারক ও নিমিত্ত কারক
- অকারক পদ – বাক্যের যে পদের সঙ্গে ক্রিয়ার সম্পর্ক থাকে না। অকারক পদ দুই প্রকার – সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ
- বিভক্তি কী – ‘সংখ্যা-কারক বোধয়িত্রী বিভক্তিঃ’ অথবা এক প্রকারের চিহ্ন যা শব্দকে পদে পরিণত করে
For SLST Studymet (IX-X) whatsapp – 7432910410
- ‘বিভক্তি’ শব্দের সাধারণ অর্থ – বিভাজন
- ‘বিভক্তি’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় – বি – ভজ্ + ক্তি
- নির্দেশক – বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা বিশেষ্য বা বিশেষণের পরে বসে বিশেষভাবে নির্দেশ করে।
- কারকের নির্দেশক – টি, টা, খানা, খানি, রা, গুলি, দল, মণ্ডল, গুচ্ছ ইত্যাদি।
- অনুসর্গ শব্দের সাধারণ অর্থ যা পরে বসে।
- অপর নাম – কর্মপ্রবচনীয়, পরসর্গ, সম্বন্ধনীয়
- ‘অনুসর্গ’ শব্দের প্রকৃতি প্রত্যয় – অনু – সৃজ্ + ঘঞ
- অনুসর্গ সম্পর্কে
- অনুসর্গ হল এক ধরনের অব্যয় যা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে শব্দবিভক্তির মতো কাজ করে। ‘স্বপ্ন দিয়ে তৈরি আমার এ মাটির ঘর’ – বাক্যে ‘দিয়ে’ একটি অনুসর্গের উদাহরণ। এগুলি বিশেষ্য বা সর্বনামের অনুপদ হিসেবে বসে তাই এর অপর নাম পরসর্গ। আর সংস্কৃত ধারানুসারে এগুলিকে কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়। অনুসর্গ পূর্বপদের অর্থকে স্পষ্টতর কিংবা সংকীর্ণতর করে থাকে।
- অনুসর্গের শ্রেণি
- বাংলাতে দু’ধরনের অনুসর্গ আছে – শব্দজাত বা নাম অনুসর্গ এবং ক্রিয়াজাত বা অসমাপিকা অনুসর্গ। প্রথম শ্রেণির অনুসর্গের উদাহরণ – কর্তৃক, দিকে, সহিত, মাঝে, মধ্যে, দ্বারা, নিমিত্ত, দরুন ইত্যাদি। দ্বিতীয় শ্রেণির অনুসর্গ হল করে, চেয়ে, হতে, থেকে, নিয়ে, ধরে ইত্যাদি।