বাংলা নাটক – রবীন্দ্রোত্তর অন্যান্য নাট্যকার
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় রবীন্দ্রোত্তর যুগের বাংলা নাটক । রবীন্দ্রোত্তর অনান্য নাট্যকার এই আলোচনায় মন্মথ রায়, বিধায়ক ভট্টাচার্য, শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, তুলসী লাহিড়ী সহ নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি এই তথ্যগুলি পাঠক পাঠিকার নানা উপকারে লাগবে।
বাংলা নাটক মন্মথ রায়
মূলত পৌরাণিক নাটকের রচয়িতা হিসেবে পরিচিত হলেও প্রায় সব শ্রেনীর নাটক রচনাতেই মন্মথ রায় প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়
প্রথম নাটক’ চাঁদ সদাগর’ (১৯২৭)
এছাড়া
‘কারাগার’ (১৯৩০)
‘মীরকাশিম’ (১৯৩৮)
বাংলা সাহিত্যে প্রথম একাঙ্ক নাটক (‘মুক্তির ডাক’ ১৯২৩) রচনা করে আজ ও মন্মথ রায় স্মরণীয় হয়ে আছেন।
বিধায়ক ভট্টাচার্য
মূলত সামাজিক নাটক রচনার জন্য তাঁর বিশেষ খ্যাতি
প্রথম নাটক
‘ মাটির ঘর’ (১৯৩৯)
‘ রক্তের ডাক’ (১৯৪১)
‘তুমি আর আমি’
‘তেরোশো পঞ্চাশ’ প্রভূতি
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
কথাসাহিত্যিক হলেও জীবনী নাটক রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন
‘ শ্রীমধুসূদন’ (১৯৩৯)
‘ বিদ্যাসাগর’১৯৪২
সলিল সেন
নবনাট্য আন্দোলোনের একজন প্রতিভাধর নাট্যকার
তাঁর বিখ্যাত নাটক’ নতুন ইহুদি’ (১৯৫৩)
‘ মৌচার’ ‘ ডাউন ট্রেন’ প্রভূতি
কিরণ মৈত্র
নবনাট্য আন্দোলোনের নাট্যকার দের মধ্যে একজন বিখ্যাত নাট্যকার কিরন মৈত্র। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক গুলি হল
‘ বারো ঘন্টা (১৯৫৯)
‘চোরাবালি’
‘ নাটক নয়’ প্রভুতি
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
বাংলা ঐতিহাসিক নাটক রচনায় তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। নাট্যকার ডি এল রায়ের দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়ে ঐতিহাসিক নাটক রচনায় মনোনিবেশ করেন
তাঁর বিখ্যাত নাটক’ গৈরিক পতাকা’ (১৯৩০)
শিবাজীর বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে
‘ সিরাজদ্দৌলা’ (১৯৩৮)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
বন্ধু (১৯৩৭)
ডিটেকটিভ (১৯৩৭)
বাংলা নাটক তুলসী লাহিড়ী
শুধু নাট্যকার নয়, নট, নাট্যপরিচালক রুপেও তিনি কূতিত্বের পরিচয় দেন
বিখ্যাত নাটক
‘ ছেঁড়া তার’
‘ দু:খীর ইমান’
‘ পথিক’
‘ বাংলার মাটি’
বিজন ভট্টাচার্য
প্রথম নাটক ‘আগুন‘ – ‘অরণি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
‘নবান্ন’ (১৯৪৪)
জীয়নকন্য (১৯৪৮)
মরাচাঁদ
গোত্রান্তর
দেবীগর্জন
গর্ভবতী জননী, প্রভূতি