কথাসাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৪৭ – ১৯১৯ ) বঙ্কিম সমকালীন ঔপন্যাসিকদের মধ্যে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম। তিনি হাসির রাজা বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ভাষা ও ভাব সম্পূর্ণ তার নিজস্ব। বাংলা বিষয় লোক না হয়েও তাঁর বাংলা ছিল সহজ ও সরল।প্রায় সমগ্র ইউরোপ ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর “VISIT_TO_EUROPE গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। ত্রৈলোক্যনাথ সমাজের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। রুপকথার সুন্দর ছবি তুলে ধরেছেন। সমাজ সমস্যা কে তুলে ধরেছেন। ভয়ংকর পরিবেশ রচনাতেও সাবলীল থেকেছেন।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
উপন্যাস:- কঙ্কাবতী(১৮৯২) ফোকলা দিগম্বর (১৯০১) মুক্তমালা ( ১৯০১) ময়না কোথায় (১৯০৪) পাপের পরিমান (১৯০৮)
ছোটোগল্প:- ভূত ও মানুষ (১৮৯৬) মজার গল্প (১৯০৬) ডমরুচরিত (১৯২৩)
কিছু ইংরাজি গ্রন্থ তিনি রচনা করেন –
1) A HANDBOOK OF INDIAN PRODUCTS AND MATERIALS ( 1883)
2) ART MANUFACTURES OF INDIA (1888)
3) A VISIT TO EUROPE (1888)
তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত গ্রন্থ- “ডমরুচরিত” (১৯২৩)।
অপ্রকাশিত রচনাগুলি হল :-
ক) “রুপসী হিরন্ময়ী “( ১৯২৩, জন্মভূমি পত্রিকা)
খ) আমার সেই অমূল্যমান (১৯২৮,জন্মভূমি)
— ইত্যাদি।
৪৫ বছর বয়সে তিনি সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।
কঙ্কাবতী :-
“কঙ্কাবতী ” ত্রৈলোক্যনাথের লেখা প্রথম উপন্যাস। রুপকথার জগতের ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। সমাজ মানুষের উপর কি রুপ প্রভাব ফেলতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল উপন্যাসের বালিকা চরিত্র কঙ্কাবতী।
কঙ্কাবতী ১৮৯২ সালে প্রকাশিত হয়।
কঙ্কাবতী একটি ব্যঙ্গাত্বক উপন্যাস।
উপন্যাসের প্রথম ভাগে আছে ১৫ টি পরিচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় ভাগে আছে ১৯ টি পরিচ্ছেদ।
একটি ‘পরিশেষ ‘ অংশ দেখা যায় উপন্যাসে । কঙ্কাবতী ও খেতুর প্রেম, বিবাহে বাধা এবং পরিশেষে মিলন।
ফোকলা দিগম্বর :-
কৌতুক ও প্রণয় কাহিনির এক সার্থক বর্ণনা এতে পাই।
ভূত ও মানুষ :-
এই গ্রন্থের মোট ৪ টি গল্প। যা জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।গল্পগুলি হল :- বাঙালা নিধিরাম, বীরবালা, লল্লু, নয়ন চাঁদের ব্যবসা।
মুক্তমালা :- এই গ্রন্থের ১১ টি গল্প।
ডমরুচরিত :- এই গ্রন্থের ৭ টি গল্প বঙ্গবাসী পত্রিকায় বিভিন্ন পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
প্রবন্ধ :- ভারতে সুবর্ণ ( ১২৯৭ ব:), ইস্পাত(১২৯৮ ব:) বিড়াল(১২৯৮ব:) গজদন্ত(১২৯৯ব:) পাথুরে কয়লা(১২৯৯ব:) নূতন কথা(১৩০২ ব:) ইত্যাদি।