বাংলা সাহিত্য

বিদ্যাসাগরের সাহিত্য কর্ম

আমরা এর আগে বিদ্যাসাগরের সংক্ষিপ্ত জীবনকথা বর্ণনা করেছি। আজ বিদ্যাসাগরের সাহিত্যকর্ম শীর্ষক পোস্টে লেখকের সমস্ত শ্রেণির সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। এই তথ্যগুলি বাংলা সাহিত্য প্রেমী ও ছাত্র ছাত্রীদের নানা উপকারে লাগবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এই পোস্টে বিদ্যাসাগরের অনুবাদ সাহিত্য থেকে বিতর্কমূলক রচনা সমস্ত তথ্য যত্ন সহকারে দেওয়া হল।

বিদ্যাসাগরের সাহিত্য কর্ম

১. বাসুদেব-চরিত (প্রথম রচনা, অপ্রকাশিত, রচনাকাল অজ্ঞাত)

২. বেতাল পঞ্চবিংশতি (প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ, ১৮৪৭, হিন্দি ‘বৈতাল পচ্চিশী’র অনুবাদ)

অনুবাদ গ্রন্থ

১. বাঙ্গালার ইতিহাস – ১৮৪৮, মার্শম্যানের ‘History of Bengal’ গ্রন্থের শেষ ৯টি অধ্যায়ের অনুবাদ। বিদ্যাসাগরের গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ A Guide To Bengal (1850) করেছেন জি.টি মার্শেল।  

২. জীবনচরিত – ১৮৪৯, চেম্বার্সের ‘Biography’ গ্রন্থের অনুবাদ। গ্রন্থে মোট ৯ জন বিশিষ্টের কথা বলা হয়েছে।

৩. বোধোদয় – ১৮৫১, চেম্বার্সের ‘Rudiments of Knoledge’ গ্রন্থের অনুবাদ। ভিডিও দেখুন।

৪. শকুন্তলা (১৮৫৪)

৫. কথামালা (১৮৫৬)

৬. সীতার বনবাস (১৮৬০)

৭. ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯)

নিজস্ব রচনা

সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা (১৮৫১, ‘৫২, ‘৫৩), ঋজুপাঠ (১৮৫১, ‘৫২, ‘৫৩), সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্যশাস্ত্র বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৩, এটি আসলে ১৮৫১ খ্রিঃ বীটন সোস্যাইটিতে পঠিত হয়), ব্যাকরণ কৌমুদী (১৮৫৩, ’৫৩, ’৫৪, ’৬২) বর্ণপরিচয় (প্রথম ভাগ ও দ্বিতীয় ভাগ, ১৮৫৫), বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিৎ কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৫), চরিতাবলী (১৮৫৬), আখ্যানমঞ্জরী (১৮৬৩), শব্দমঞ্জরী (বাংলা অভিধান, ১৮৬৪), বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিৎ কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার (১৮৭১, ‘৭৩), বামনাখ্যানাম (১৮৭৩), নিষ্কৃতিলাভপ্রয়াস (১৮৮৮), শ্লোকমঞ্জরী (১৮৯০), বিদ্যাসাগর চরিত (১৮৯১, অসম্পূর্ণ), প্রভাবতী সম্ভাষণ (১৮৯২, লেখকের মৃত্যুর পর ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় প্রকাশিত)

ছদ্মনামে লেখা গ্রন্থ

১. কস্যচিৎ ভাইপোস্য – অতি অল্প হইল (১৮৭৩), আবার অতি অল্প হইল (১৮৭৩), ব্রজবিলাস (১৮৮৪)। প্রথম দুটি গ্রন্থ বহুবিবাহ বিষয়ে তারানাথ বাচস্পতির লেখার প্রতিবাদ করে রচিত।

২. কস্যচিৎ তত্ত্বাণ্বেষিণঃ – বিনয়পত্রিকা (১৮৮৪) – গ্রন্থটির পূর্বনাম ‘বিধবাবিবাহ ও যশোহর-হিন্দুধর্ম্মরক্ষিণী সভা’। দ্বিতীয় সংস্করণে বর্তমান নামটি গৃহীত হয়),

৩. কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য – রত্নপরীক্ষা (১৮৮৬)

গ্রন্থের অনুবাদ – ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘Marriage of Hindu Widows’ নামে ‘বিধবাবিবাহ’ গ্রন্থ দুটির ইংরেজি অনুবাদ করেন স্বয়ং লেখক। পরে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তা মারাঠিতে অনুবাদ করেন পরশুরাম শাস্ত্রী।

তথ্যদানে – নীলরতন চট্টোপাধ্যায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *