জীবনানন্দ দাশ – জীবনের নানা পর্যায়
জীবনানন্দ রবীন্দ্র পরবর্তী অন্যতম কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ। আমরা এর আগে কবি জীবনানন্দের কাব্যজগৎ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় আপনারা পাবেন সন তারিখ অনুসারে কবির সামগ্রিক জীবনপঞ্জি। সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন কাব্যের স্বরূপও আলোচিত হয়েছে এখানে। এখন সন তারিখ অনুসারে ক্রমান্বয়ে পরিচিত হওয়া যাক কবি জীবনানন্দ সম্পর্কে।
জীবনানন্দ বৃত্তান্ত
১৮৯৪, ২৩ শে মে ঃ ব্রহ্মমন্দিরে সর্বানন্দ দাশের দ্বিতীয় পুত্র সত্যানন্দ ও চন্দ্রনাথ দাশের প্রথমা কন্যা কুসুমকুমারীর বিবাহ হয়।
১৮৯৯, ১৭ ফেব্রুয়ারী ঃ সত্যানন্দ ও কুসুমকুমারী দেবীর প্রথম সন্তান হিসেবে জীবনানন্দের জন্ম।
১৯০৮ জানুয়ারীতে পঞ্চম শ্রেণিতে জীবনানন্দের পাঠ
১৯১৫ কবি প্রবেশ করলেন কলেজে। ঐ বছরেই ১লা এপ্রিল বোন সুচরিতার জন্ম।
১৯১৭ ব্রহ্মমোহন কলেজ থেকে প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি।
১৯১৯ কলকাতা হার্ডিঞ্জ থেকে এম.এ পাশ করলেন।
১৯২৫ ‘বঙ্গবাণী’, ‘প্রবাসী’, ‘কল্লোল’ ও ‘বিজলি’ পত্রিকায় নিয়মিত আত্মপ্রকাশ
১৯২৭ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরাপালক’এর প্রকাশ
১৯৩০ লাবণ্যাদেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
১৯৩২ ‘ক্যাম্পে’ কবিতার প্রকাশ
১৯৩৩ ‘বিভা’ উপন্যাসের সূত্রপাত
১৯৩৪ ‘রূপসী বাংলা’ কবিতা প্রকাশ
১৯৩৫ ‘বনলতা সেন’ কবিতা প্রকাশিত
১৯৩৬ ধূসর পান্ডুলিপি’ কাব্য প্রকাশিত
১৯৪২ ‘বনলতা সেন’ কাব্যের প্রকাশ
১৯৪৪ প্রকাশিত হয় ‘মহাপৃথিবী’ কাব্য
১৯৪৭ দেশভাগের পূর্বে সপরিবারে কলকাতায় আগমন
১৯৪৮ ‘মাল্যবান’, ‘সুতীর্থ’, ‘জলপাইহাটি’ ও ‘বাসমতীর উপাখ্যান’ এই চারটি উপন্যাস ও দুটি ছোটগল্প ‘হেমন্তের দিনগুলি’ ও ‘হুমায়ুন প্রেসের থেকে’ প্রকাশিত। ঐ বছরেরই প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘সাতটি তারার তিমির’। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে কুসুমকুমারী দেবীর মৃত্যু
১৯৫০ সমকালীন সাহিত্যকেন্দ্রের মুখপত্র ‘দ্বন্দ্ব’ পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক হন, এই বছরের ২ সেপ্টেম্বর খড়্গপুর ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
১৯৫৪ বুদ্ধদেব বসু সংকলিত ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’য় তাঁর ১০টি কবিতা গৃহীত হয়। এই বছরেই প্রকাশিত হয় ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’। ১৪ই অক্টোবর একটি ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শম্ভুনাথ হাসপাতালে ভর্তি। ২২ শে অক্টোবর রাত্রি ১১ টা ৩৫ মিনিটে মৃত্যু
১৯৫৫ ‘জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা’র সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ
১৯৫৭ ‘রূপসী বাংলা’ কাব্য প্রকাশিত
১৯৬১ প্রকাশিত হয় ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ কাব্যগ্রন্থ
১৯৭৯ কাব্য ‘মনবিহঙ্গম’ প্রকাশিত
২০০৪ পান্ডুলিপি থেকে আহৃত নতুন কাব্য ‘ছায়া আবছায়া’ এবং নতুন উপন্যাস ‘সফলতা নিষ্ফলতা’
২০০৭ নিউ স্ক্রিপ্টে প্রকাশিত হয় ‘জীবনানন্দের সমগ্র কবিতা’