সরোজকুমার রায়চৌধুরী – স্বল্পালোচিত সাহিত্যিক
বাংলা সাহিত্যে যে সব কবি সাহিত্যিক স্বল্পালোচিত বা প্রায় অনালোচিত, যাদের কথা আমরা ‘হয়তো শুনেছি’ কিন্তু খুব ভাল করে তাদের বা তাঁদের রচনার কথা জানি না সেইসব শিল্পীদের নিয়ে আলোচনার জায়গা আমাদের এই প্রয়াস।
আমরা শুধুমাত্র কিছু তথ্য দেওয়া বা জানার গণ্ডীর মধ্যে থাকতে চাই না। আমরা বাংলা সাহিত্যকে আমাদের ভালো লাগার, ভালোবাসার পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। যাদের প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ অবদানের জন্য বাংলা সাহিত্য বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো আমাদের উদ্দেশ্য।
আমাদের আলোচ্য কথাসাহিত্যিক সরোজকুমার রায়চৌধুরী
সাহিত্যের অনেক সমালোচক কথাসাহিত্যিক সরোজকুমারের নাম তারাশঙ্করের সঙ্গে প্রায় সমতুল ভাবে উচ্চারণ করেন। গ্রাম জীবনের কথা, রাজনীতির তাড়না, দুর্ভিক্ষ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সংকট এসবই তার রচনায় পাওয়া যায়। তার রচনায় শহুরে নানা অভিজ্ঞতার প্রভাব দেখা যায়। আবার অরণ্য ছায়াময় গ্রাম জীবনের প্রতিও লেখকের মমতা একান্ত আন্তরিক। তাঁর উপন্যাস – ময়ুরাক্ষী (১৯৩৬), গৃহকপোতী (১৯৩৭) এবং সোমলতা (১৯৩৮) ত্রয়ী উপন্যাস। এগুলি একসাথে ‘নূতন ফসল’ নামে বাংলা সাহিত্য জগতে পরিচিত। অন্যান্য রচনার মধ্যে আছে ‘তিমির বলয়’ (১৯৫৬ – ৫৭), শতাব্দীর অভিশাপ (১৯৪১), কালো ঘোড়া, শৃখল, বন্ধনী, পান্থনিবাস, ঘরের ঠিকানা প্রভৃতি উপন্যাস।
তাঁর প্রথম গল্প ‘রমানাথের ডায়েরী’ সাপ্তাহিক ‘আত্মশক্তি’তে প্রকাশিত হয়। তিনি কল্লোল ও কালিকলমেও অনেক গল্প লিখেছেন। তাঁর গল্পের বই মনের গহনে (১৯৩৩), দেহযমুনা (১৯৩৩), রমণীর মন (১৯৬০) সন্ধ্যারাগ (১৯৬১) প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র – বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা, ভূদেব চৌধুরী
আলোচক – নীলরতন চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষক, অ্যাডমিন, টার্গেট এসএসসি বাংলা